ময়মনসিংহের আনন্দ মোহন কলেজ ছাত্রলীগ ইউনিটকে জেলার অধীনে ঘোষণা করেছে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ। এই নিয়ে জেলা ও মহানগর ছাত্রলীগের অনুসারীদের মধ্যে উত্তেজনা, ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় শনিবার সন্ধ্যায় আনন্দ মোহন কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মোঃ আমান উল্লাহ স্বাক্ষরিত নোটিশে প্রতিষ্ঠানটির সব আবাসিক হল বন্ধের ঘোষণা দেওয়া হয়।
নোটিশে বলা হয়, রাত সাড়ে ৮টার মধ্যে ছেলেদের এবং আজ রবিবার সকাল ৮টার মধ্যে মেয়েদের হল ত্যাগ করার নির্দেশ দেওয়া হলো। এর আগে শুক্রবার (৩ ডিসেম্বর) রাতে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ আনন্দ মোহন কলেজ ছাত্রলীগ ইউনিটকে জেলার অধীনস্থ ঘোষণা করে।
এ ঘোষণার পর শনিবার সকাল থেকেই ছাত্রলীগের কিছু কর্মী আনন্দ মোহন কলেজ প্রাঙ্গণে অবস্থান নেন এবং কলেজ ছাত্রলীগ শাখাকে মহানগর শাখায় অন্তর্ভুক্তির দাবি জানিয়ে শ্লে¬াগান দিতে থাকেন।
এই নিয়ে দুপুরের দিকে ছাত্রলীগের অন্য একটি অংশ ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায় একটি অংশ দাবি করেন। এসময় দুই গ্রুপের মাঝে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া এবং হাতাহাতির ঘটনা ঘটে।
এবিষয়ে মহানগর ছাত্রলীগের আহ্বায়ক নওশেল আহমেদ অনি বলেন, মহানগরের কোনো ছাত্রলীগ নেতাকর্মী আনন্দ মোহন কলেজে যায়নি। শুনেছি, সেখানে জেলা ছাত্রলীগ ককটেল ফাটিয়েছে। এদিকে, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আল আমিন বলেন, মহানগর ছাত্রলীগ আনন্দ মোহন কলেজে হাতাহাতি করেছে ও ককটেল ফাটিয়েছে শুনেছি। জেলা ছাত্রলীগের কোনো নেতাকর্মী আনন্দ মোহন কলেজে যায়নি। কেউ যদি জেলা ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে ককটেল ফাটানোর অভিযোগ করে থাকে সেটি অবশ্যই মিথ্যা। কারণ জেলা ছাত্রলীগের সব নেতাকর্মী টাঙ্গাইল জেলা ছাত্রলীগের দাওয়াতে টাঙ্গাইলে অবস্থান করছে।
এ বিষয়ে কোতোয়ালী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ কামাল আকন্দ বলেন, দুই পক্ষের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়েছে। খবর পেয়ে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
জেলা ও মহানগর ছাত্রলীগের বিবাদে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে ময়মনসিংহ। কমিটি ঘোষনার পাঁচ মাসের মধ্যেই নেতারা বিবাদে জড়িয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে অনির্দিষ্ট কালের জন্য হল বন্ধ ঘোষনা করেছেন কর্তৃপক্ষ। ৩ ডিসেম্বর রাতে আনন্দ মোহন কলেজ শাখা ছাত্রলীগের ইউনিটটি জেলা ছাত্রলীগের অন্তর্গত ইউনিট হিসেবে বিবেচিত হবে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের এমন প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে মহানগর ছাত্রলীগের অনুসারীরা আন্দোলনে নামে। শনিবার দিনভর কলেজ ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের দুই গ্রুেেপর-পাল্টা ধাওয়ায় উত্তেজনার মুখে সন্ধ্যার দিকে কলেজের হল বন্ধের নির্দেশনা দেন কর্তৃপক্ষ। শনিবার রাত ৮টার মধ্যে হল ছাড়ে বেশিরভাগ ছাত্র এবং ছাত্রীরা। রবিবার সকালেও শিক্ষার্থীদের হল ছাড়তে দেখা যায়। হঠাৎ করে হল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় ভোগান্তিতে পড়েছে শিক্ষার্থীরা।